দেবিদ্বার (কুমিল্লা): কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছেন ফুরফরে মেজাজে। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রোববার দুপুরে বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা নিটার্নিং অফিসার ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর।
গত সপ্তাহজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শ্রেণী লোক ব্যাপক প্রচারণা চালায়- মামলা জটিলতায় মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। এমন সংবাদে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করে।
রোববার সকালে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের হলরুমে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছইকালে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর মনোনয়ন স্থগিত রাখেন।
পরে দুপুরে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আনন্দে ফেটে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যেই খবরটি ফেজবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
নেতাকর্মীরা জানান, চার চারবারে এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর মনোনয়ন বাতিল হলে এই আসনে নৌকা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকত, তাই তারা মঞ্জু মুন্সীর মনোনয়ন নিয়ে এ ধরনের নোংড়া প্রচরণায় চালায়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনটি বিএনপির একটি শক্ত ঘাঁটি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদকে পরাজিত করার মধ্যদিয়ে বিএনপির এমপি নির্বাচিত হন ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী।
তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে দেবিদ্বার উপজেলা ব্যাপক উন্নয়ন করেন। যার ফলে তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা চার চারবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেবিদ্বারে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও ১/১১-এর সময় তাকে অনেক নির্যাতন ও জেলে যেতে হয়।
গত সপ্তাহজুড়ে আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট করার জন্যেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে বলে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যায়।
অবশেষে মনোনয়ন বৈধ হওয়ার মধ্যদিয়ে বিএনপির বিজয় হয়েছে। মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর হাত ধরেই একাদশ নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।
সূত্র: যুগান্তর