নিউজ ডেস্ক: ২০১৩ সালে গাজীপুর আব্দুস সালাম মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের হাত ধরে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাটিরপাড় গ্রামের প্রদ্বীপ কুমার সাহা সহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সাড়ে চার বছর পর আসলেন নিজ জন্ম ভূমি হাটিরপাড় গ্রামে।
এতদিন গ্রামে আসতে নিষেধ করে তাদের সমাজ এবং সনাতন ধর্মের পরিবাররা। নিষেধের খবর পাওয়ার পর হাটিরপাড় মুসলিম সমাজ ঐ পরিবারকে এলাকায় আসার আহবান জানান। স্থানীয় মুসলিমদের সহোযোগীতা পেয়ে দীর্ঘদিন পর তারা নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। তাদের আগমন উপলক্ষ্যে স্থানীয় মুসলিম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মসজিদের খতিব মাওলানা মোতাহের হোসেন তাদের উৎসাহ উদ্দিপনার সাথে বরণের ব্যবস্থা করে।
বর্তমানে প্রদ্বীপ কুমার সাহার মুসলিম হওয়ার পর নতুন নাম রাখা হয় ‘নূর মোহাম্মদ’। তার সাথে ছিলেন তার দুই ছেলে, স্ত্রী ও শাশুড়ি। বড় ছেলে ধর্ম ত্যাগ করার পূর্বের নাম ছিল ইমন সাহা, মুসলমান হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় ‘মোহাম্মদ ইসমাইল হাসান’। ছোট ছেলের নাম ছিল সৈকত সাহা, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয় ‘শাহাদাৎ হোসেন’। তার স্ত্রী সরস্বতীর নাম এখন খাদিজাতুল কোবরা। এবং নূর মোহাম্মদের শাশুড়ির নাম ছিল সুমি রানী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয় ‘ফাতেমাতুজ জোহরা’।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর নিজ জন্মভূমিতে ফিরে এক প্রতিক্রিয়ায় নূর মোহাম্মদ বলেন, তিনি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ইসলাম ধর্মের কুরআন এবং হাদিসের বাণী এবং বিভিন্ন আলেম ওলামাদের বয়ান শুনার পর মনে হয় ইসলাম ধর্ম তার নাজাতের জন্য যথেষ্ট এবং আখেরী নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সর্ব শেষ নবী এবং সঠিক ধর্ম হিসেবে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তার পরিবারের সদস্যরা বলেন আমাদের হিন্দু ধর্ম ত্যাগের কথা শুনে আমাদের পূর্বের ধর্মাবলম্বী স্বজনরা গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে এসে তাঁরা অত্যাচার শুরু করেন। পরে স্থানীয় মসজিদের খতিব সহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন এবং এলাকাবাসী আমাদের পাশে দাড়ান।