কুমিল্লা: কুমিল্লার তরুণী আর নেপালী তরুণের এই প্রেমের ‘বাঁধন’ দেখে হতবাক সবাই! প্রেম, ভালোবাসা মাঝে মাঝে সত্যিই অন্ধ করে দেয় মানুষকে। সমাজ যতই বাঁকা চোখে তাকাক, যতই কটূ কথা শোনাক না কেন প্রেমের ক্ষেত্রে যেন এগুলো ভাবারই সময় নেই! আসলেই সত্যিকারের প্রেম মানে না কোন বাধা, জাত কি বেজাত, বয়স বা কোন নিয়ম। আর সেটিই যেন আরও একবার বাস্তব প্রমাণ মিললো।
যেখানে বাঙ্গালীরা অনেক সময় এক জেলার মানুষ অন্য জেলার মানুষকে বিয়ে করতে চায় না, সেখানে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এই প্রেমের কারণে নেপালে পাড়ি জমাচ্ছেন কুমিল্লার এক তরুণী। শত বাধা পেরিয়ে আসা দু’জনের এই প্রেমের ‘বাঁধন’ দেখে হতবাক সবাই।
গল্পটা এক ডাক্তার যুগলের। কুমিল্লা শহরে রানীরবাজার এলাকার ডা. সমীর কান্তি সরকারের মেয়ে ডা. কাঞ্চি সরকার, ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হন কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে, সেখানেই পরিচয় হয় বাংলাদেশে পড়তে আসা নেপালি তরুণ কৃষ্ণা আইরি’র সাথে।
প্রথমে ঘনিষ্ঠতা তারপর আরও পরে প্রণয়। দুই দেশ, দুই সংস্কৃতি, আশেপাশে নানা মানুষের নানা কথা, সব ছাপিয়ে ২০১৭ সালে আশীর্বাদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা নবজীবনের প্রথম ধাপ উত্তীর্ণ হলেন। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করলেন বাংলাদেশের কুমিল্লায়, গত ২৪ তারিখ কাঠমুন্ডু থেকে নেপালী কায়দায় বর সেজে বিমানে চড়ে কৃষ্ণা এলেন।
এরপর ২৬ তারিখ কনের পৈতৃক নিবাস ‘অতীন্দ্র ভবনে’ তাদের হলুদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় এবং ২৮ তারিখ রাতে নগরীর মডার্ন কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিয়ের মন্ডপে নেপালী সাজ ছেড়ে ধুতি পাঞ্জাবিতে দেখা গিয়েছে বর, নেপালী যুবককে।
বাঙ্গালী রীতিতে বিয়ে হলেও সব আনুষ্ঠিকতা শেষে ৩১ জানুয়ারি তাদের নেপাল যাওয়ার কথা রয়েছে এবং সেখানে নেপালী রীতিতে বিবাহত্তোর সংবর্ধনা হওয়ার কথাও রয়েছে।