নিউজ ডেস্ক : এবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এক ইমামের বিরুদ্ধে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা জানাজানি হলে বেলা ১১টায় তাকে আটক করে পুলিশ।
ধর্ষণের এই ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর ১২টায় ইমামের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, মসজিদের ভেতরে নিজের থাকার ঘরেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ইমাম মো. মাহফুজুর রহমান (২১)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন তিনি। ওই কিশোরীকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মাহফুজুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
কিশোরীর বাবা জানান, তাদের পুরোনো বাড়িতে যাতায়াতের সময় প্রায়ই ইমাম মাহফুজ তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিতেন। ঘটনার দিন সকালে বাড়িতে যাওয়ার পথে ফুসলিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যান ইমাম। পরে সেখানে মেয়ের মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করেন তিনি।
পরে মেয়ে বাড়ি ফিরলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তার মা। বিষয়টি তিনি স্বামীকে জানান। পরে তিনি বাড়ি ফিরে মেয়েকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়। মেয়েটির যৌনাঙ্গের রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের সদস্য আলম হাজারী জানান, তিনি খবর পাওয়ার পর মসিজদের যান। সেখানে গিয়ে ইমাম মাহফুজের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চান। তিনি স্বীকার করার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর মেয়েটির বাবা দেবিদ্বার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ইমাম মো. মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখায়।