কুমিল্লা : জুতার অভাবে সেন্ডেল পড়েই ভাইভা বোর্ডে এসেছিল তারা! কুমিল্লায় এবার বিনা পয়সায় চাকরি পেলেন কৃষক, রিকশাচালক, মাছ বিক্রেতা, নাইটগার্ড ও গৃহপরিচারিকার সন্তানেরাও। মেধার ভিত্তিতে বিনা পয়সায় সোনার হরিণ খ্যাত এ চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপারকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অধিকাংশ হতদরিদ্র পরিবারের উত্তীর্ণরা।
মঙ্গলবার উত্তীর্ণদের পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবার জেলাটিতে অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় এবং মেধাবীরা পুলিশে নিয়োগ পাওয়ায় জেলার সর্বত্রই চলছে প্রশংসা। এদিকে কথা রাখলেন পুলিশ সুপার, বিনা পয়সায় চাকরি দিয়ে পরিচয় দিলেন সততার- এমন হাজার হাজার স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, কুমিল্লায় জেলায় এবার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে ৩০৭ জনকে চাকরি দিয়ে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তার ঘোষিত ১০৩ টাকায় পুলিশে চাকরি পাওয়া ৩০৭ জনের মধ্যে ১৩৪ নারী ও ১৭৩ জন পুরুষ। সোমবার রাতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ সময় ১০৩ টাকায় চাকরি পেয়ে অনেককেই খুশিতে কান্না করতে দেখা যায়। গত ১ জুলাই কনস্টেবল পদে অন্তত ৬ হাজার নিয়োগপ্রত্যাশী শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে ২ হাজার ৬৫৪ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়।
লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৫৪ জনের মধ্যে ৬১০ জন উত্তীর্ণ হয়েছিল। এদের মধ্যে ৪৭৯ জন পুরুষ এবং ১৪১ জন নারী। গত শনিবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সব অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করেন।