নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লা সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কন্যা আয়মান বাহার সোনালীর বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় বিশাল আয়োজন করা হয়েছে কুমিল্লায়। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মাহবুব উল আলম হানিফসহ তিনজন মন্ত্রী, বেশ কয়েকজন এমপিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এমপি-কন্যার বিয়ে উপলক্ষ্যে আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লা সদর আসনের ১৫টি স্থানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। এসব স্থানে অন্তত ২০ হাজার লোক আপ্যায়িত হন।
জানা গেছে, গেলো বছরের মাঝামাঝি সময়ে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের দ্বিতীয় কন্যা আয়মান বাহার সোনালী ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপির পুত্র আসিবুর রহমান খানের বিয়ে হয়। বিয়ের একবছর পর বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।
এমপিকন্যার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই কুমিল্লায় সাজ-সাজ রব বিরাজ করে। ২০ হাজার কার্ড ছাপিয়ে সদর সংসদীয় আসনের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ড ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডভিত্তিক উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দকে দাওয়া দেওয়া হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য ১৫টি স্থানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এসব স্থানে চলে খাওয়া-দাওয়া।
এদিকে আওয়ামী লীগের দুই এমপির পুত্র-কন্যার বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কুমিল্লায় আসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি এরোমা দত্ত, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এমরান কবির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থাপনা করা হয় কুমিল্লা ক্লাব, কুমিল্লা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম, কুমিল্লা স্টেশন ক্লাব, কুমিল্লা প্রেস ক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তন, নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার ক্যাপসিকাম পার্টি সেন্টার, মুরাদপুর এলাকার গ্লোবাল কমিউনিটি সেন্টার, ঢুলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত ফান টাউন, টমছমব্রিজ এলাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন মিলনায়তন, বিজিবি কুমিল্লা সেক্টরের শালবন হলরুম, পুলিশ লাইনস্ শহীদ আর. আই. আবদুল হালিম মিলনায়তন ও পুলিশ ম্যাস, রেইসকোর্স এলাকার কিউ প্যালেস পার্টি সেন্টার, বাতাবাড়িয়া এলাকার আইরিশ হিল রেস্টুরেন্ট, রাণীর বাজার ফাইন্ড কমিউনিটি সেন্টারে। আর খাবারের ম্যানুতে ছিলো পোলাউ, মুরগীর রোস্ট, খাসির মাংস, গরুর মাংস ও জর্দা।