কুমিল্লা থেকে : নতুন করে ১৬ জনের প্রাণঘা'তী করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আক্রা'ন্ত হয়েছেন ১৫০ জন। নতুন করে আক্রা'ন্তদের মধ্যে জেলার মুরাদনগরে ৮ জন, দেবিদ্বারে ৪ জন, লালমাইয়ে ২ জন, সিটি কর্পোরেশনের ২ জন ও চৌদ্দগ্রামের ১ জন রয়েছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় মৃ'ত্যুবরণ করেছেন ১ জন। এনিয়ে জেলায় করোনায় মৃ'তের সংখ্যা ৭ জন। মৃ'ত ব্যক্তি দেবিদ্বারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এছাড়া এই পর্যন্ত ২৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ২ জন। এদিকে লালমাই উপজেলায় প্রথমবারের মত দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের কিসমত চলুন্ডা গ্রামের আমানের সন্তান ২ মাস বয়সী লামিয়া ও একই গ্রামের বাগমারা হাসপাতালের নার্স ফেরদৌসি বেগম (৪৮) । লালমাই উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত জানান, সকালে তার পরিবার ও আশেপাশের পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। তিন পরিবারের সকল সদস্যের পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আক্রা'ন্ত পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত পর্যাপ্ত সরকারি খাদ্য উপহার, শিশু খাদ্য ও সুর'ক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। শিশুটি স্বাস্থ্য বিভাগের নিবিড় তদারকিতে আছে।করোনায় আক্রা'ন্ত বাগমারা হাসপাতালের নার্স ফেরদৌসি বেগম কুমিল্লা শহরে থাকেন। তার বাসাও লকডাউন করা হয়েছে ও পরিবারের সকল সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাছাড়া মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের এক পরিবারের ২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। যার ফলে পরদিন প্রশাসন বাড়িটিকে লকডাউন করে দিয়ে পরিবারের বাকি ৭ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। গত ৬ মে পরীক্ষার জন্য মুরাদনগর থেকে ঢাকায় প্রেরণকৃত ২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ওই পরিবারটির ৭ জনেরই করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। যা মুরাদনগর উপজেলায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনা'ক্ত হয়েছে।
সিভিল সাজন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, শনিবার দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ১ জনের। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ২ হাজার ৭৭৯ জনের। এদের মধ্যে আক্রা'ন্তের সংখ্যা ১৫০ এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন। আর মা'রা গেছেন ৭ জন।