নিউজ ডেস্ক : এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর গ্রামে। হ'ত্যাকাণ্ডের শি'কার স্বর্ণা আক্তার (১১) ও ফারিয়া আক্তারের (৬) ম'রদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) ম'র্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহ'ত শিশুদের আপন মা সোনিয়া আক্তারের দায়ের করা মামলায় নিহ'তদের বাবা সুমন মিয়া (৪১) ও তাদের সৎমা রুনা বেগমকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈদ উপলক্ষে পায়ের নূপুর, নাকে নোলক এবং মেহেদী কিনে দেওয়ার প্র'লোভন দেখিয়ে স্বর্ণা ও ফারিয়াকে ডেকে নিয়ে যায় রুনা বেগম। ইফতারের পরও তারা বাড়ি না আসায় সোনিয়া তার সতীনের বাড়ি যায়। এ সময় রুনার শরীরে কাপড় ভেজা দেখে তার সন্দেহ হয়। রুনার শরীর ভেজা দেখার পর গ্রামের বিভিন্ন পুকুরে খোঁজা-খুজি শুরু করেন সোনিয়া। পরে রব্বান মিয়া নামে এক স্থানীয়ের ডোবায় তার সন্তানের জুতা ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এলাকাবাসী ছুটে এসে ডোবায় খোঁজ চালিয়ে স্বর্ণা ও ফারিয়াকে অচেতন অবস্থায় উ'দ্ধার করে। পরে তাদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বর্ণা ও ফারিয়াকে মৃ'ত ঘোষণা করে।
নিহ'ত শিশুদেরমা আরও জানান, ৩ বছর আগে তাকে না জানিয়ে রুনাকে বিয়ে করেন সুমন। তার ঘরে না রেখে স্থানীয় বাতেন মিয়ার বাড়িতে রুনাসহ ভাড়া থাকতেন তিনি। সুমন তার ও সন্তানদের কোনো খোঁজ-খবর রাখতেন না। বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে গ্রামে মুরগির ফার্ম দেন সোনিয়া। সেই টাকা দিয়ে নিজের সংসার চালাতেন। তার মা ২ নাতনিকে ঢাকায় একটি স্কুলে ভর্তি করায়। তবে লকডাউন শুরু হওয়ায় স্বর্ণা ও ফারিয়া নবীপুর গ্রামে তার কাছে চলে আসে।
সোনিয়া বলেন, স্বর্ণা ও ফারিয়া আসার পর থেকেই রুনা তাদের পেছনে লাগে। কিছুদিন আগে আমার ছেলে শুভ মিয়াকে (১৩) নবীপুর তামিরুল উম্মাহ এতিমখানা ও মাদরাসা থেকে মা পরিচয় দিয়ে আনতে যায় রুনা। তখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন দিলে তাকে সতিন বলে পরিচয় দেই। তাদের এও বলি, রুনার কাছে আমার ছেলেকে দিয়েন না, দিলে মে'রে ফেলবে। শুক্রবার সে আমার মেয়েদের মে'রে ফেলে। আমি আমার ২ বাচ্চাকে হ'ত্যার বিচার চাই।
মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, শিশুদের উ'দ্ধারের পর তাদের থুতনির নিচে আঘা'তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পূর্বপশ্চিম, বাংলাদেশটাইমস, আরটিভি