কুমিল্লা: মাদরাসাছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয়। এরপর তাকে কৌশলে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে নাটক। অতঃপর আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষ'ণের পর প্রেমিকাকে বাথরুমে আ'টকে রেখে পালিয়ে আসে প্রেমিক রবিউল আউয়াল (২৯)। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। প্রেমিকার দায়েরকৃত মা'মলায় কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে।
জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলায় ঘ'টেছে এ ঘ'টনা। বুধবার আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল প্রেমিকাকে ধ'র্ষণের কথা স্বী'কার করেছেন। গ্রেফতারকৃত রবিউল আউয়াল মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার হায়দারাবাদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
মা'মলার অভি'যোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঙ্গরা থানার একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় রবিউলের। পরিচয়ের সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর বাজারে দেখা করতে এলে ওই মাদরাসাছাত্রীকে কৌশলে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বাড়িতে যায় রবিউল আউয়াল।
সেখানে সে মেয়েটিকে জোরপূ'র্বক বিয়ের চেষ্টা করে। এতে সম্মতি দেয়নি ওই শিক্ষার্থী। পরে একটি নোটারি পাবলিকের কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরদিন রবিউল ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায় সিলেটে। সেখানে একটি মাজার সংলগ্ন এক আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষ'ণ করে।
পরদিন সকালে ওই মাদরাসাছাত্রী বাথরুমে গেলে তাকে বাইরে থেকে আ'টকে দেয়। এরপর তার হাতব্যাগে থাকা স্বর্ণের একজোড়া কানের দুল, গলার চেইন ও মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে আসে রবিউল। পরে ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে হোটেলের লোকজন কক্ষে গিয়ে তাকে বের করেন।
এ ঘট'নায় বুধবার সকালে মাদরাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ওই যুবকের বি'রুদ্ধে ধ'র্ষণ, অপ'হরণ ও চুরির অভি'যোগে মা'মলা দায়ের করেন। পুলিশ দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা এলাকা থেকে রবিউলকে গ্রেফ'তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়। এছাড়াও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই মাদরাসাছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রাতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অভি'যু'ক্ত ধ'র্ষণকারী রবিউল আউয়ালকে গ্রে'ফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বী'কার করেছে। এ ঘ'টনায় তার সহযোগীদেরও গ্রে'ফতার করা হবে।