কুমিল্লা: কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মায়ের মৃত্যুর ৫ দিন পর এ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ডা. মাহফুজ-উল-আলম (৪০) মারা গেছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি বরুড়া উপজেলার পেরপেটি গ্রামের হাজী মো. ইয়াছিন মোল্লার ছেলে। এদিকে তার বাবা, বড় বোন জেসমিন আক্তার ও ছোট ভাই আব্দুল কাইয়ুম সুজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মাহফুজ জেলার দেবিদ্বার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবির।
ডা. মাহফুজের সহকর্মীরা জানান, গত ৫ দিন আগে ডা. মাহফুজের মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গত বছর তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা দেন। এর আগে তার ব্রেইন টিউমার অপারেশন হয়েছিল। ডা. মাহফুজ দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করলেও প্রেষণে তাকে উপজেলার গোপালনগর সাবসেন্টারে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
শনিবার রাতে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবির জানান, গত বৃহস্পতিবার সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর নিয়ে ডা. মাহফুজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। এদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার করোনার নমুনা পাঠানো হয়। কিন্তু পিসিআর মেশিনে সমস্যা থাকায় সময় মতো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, একদিকে মায়ের মৃত্যু, অন্যদিকে বাবা, ভাই ও বোন করোনায় আক্রান্ত হয়েহাসপাতালে ভর্তির পর ডা. মাহফুজ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। এরই মধ্যে শনিবার ডা. মাহফুজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুপুরের দিকে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
হাসপাতালে নেয়ার পথে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার রাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে বরুড়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।