প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক স্কুলছাত্র সোহেল রানা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলা সদরের পশ্চিম পাড়ায়।
সোহান রানা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাহের সর্দারের। সে উপজেলার ফজলুল রহমান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। প্রেমিকাকে না পেয়ে কিছুদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল সোহান রানা।
মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার সাথে ঘরের লোকদের তর্কবিতর্ক হয়। পারিবারিক এসব ঝগড়া বিবাদ হয় এবং এনিয়ে সে ক্ষোভে দুপুরের দিকে ঘরের একটি কক্ষে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।ঘরের জানায় দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তার ভাতিজা সীমান্ত।কান্নাকাটি করে। এক পর্যায় পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহান রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম, নিহতের বড় ভাই শাহাজাহান ও চাচা আবুল বাশার ভূঁইয়া জানান, সোহান রানার সঙ্গে অনেক দিন ধরে ব্রাহ্মণপাড়া সাহেবাবাদ নগরপাড় এলাকার এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে ভাড়ায় থাকত। সে কয়েকবার প্রেমের টানে সোহান রানার বাড়িতে চলে এসেছিল।
তারা জানান, দুজনের বয়স কম হওয়ার কারণে সোহানের পরিবার মেনে নেয়নি। তারপর ব্রাহ্মণপাড়ার জসিম চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে সবাই বসে মৌখিক সিদ্ধান্ত নেয়- দুজন প্রাপ্তবয়স হলে এবং লেখাপড়া শেষ হলে বিয়ে দেয়া হবে। এর পর এক রাতে সবার অজান্তে মেয়েটি ও তার পরিবার বাসা ছেড়ে চলে যায়। সবার ধারণা মেয়ে চলে যাওয়াতে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সোহান রানা আত্মহত্যা করে।