প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বরিশাল থেকে কুমিল্লার চান্দিনায় গিয়ে ১০ মাসের এক শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রেমিকা সাবিনা। ঘটনার এক দিন পর মাওয়া ফেরিঘাট থেকে অপহরণকারী সাবিনাকে আটকের পর ওই শিশুকে উদ্ধার করে চান্দিনা থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুর পিতা এরশাদুল হক।অপহরণকারী সাবিনা বরিশাল জেলার সদর উপজেলার দিবাকর গ্রামের মৃত খালেক বেপারীর মেয়ে।
জানা যায়, বরিশালের সাবিনা ও ময়মনসিংহের ফারুক নামের এক যুবক গত ৭-৮ বছর আগে ময়মনসিংহ সদরের একটি হোটেলে কাজ করতেন। সেখানে কাজ করার সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে ফারুক নামের ওই যুবক চান্দিনায় এসে দৈনিক মজুরিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন। আর দীর্ঘদিন চান্দিনার মাইজখার গ্রামের কৃষিকাজ করার সুবাদে একই ইউনিয়নের আলিকামুড়া গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। ওই সংসারে তার দুইটি সন্তানও রয়েছে।
এদিকে সাবিনাও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপরও দুজনের মধ্যে চলতে থাকে প্রেমের সম্পর্ক। ওই প্রেমের সম্পর্কের জে'র ধ'রে রোববার প্রেমিক ফারুকের সঙ্গে দেখা করতে চান্দিনায় আসেন সাবিনা। প্রেমিকের বাড়িতে ঠাঁই না হওয়ায় পার্শ্ববর্তী মাইখার গ্রামে এসে একটি বাড়িতে রাতযাপনের জন্য আশ্রয় নেন সাবিনা।
পর দিন সোমবার বিকালে নির্মাণ শ্রমিক এরশাদুল হকের একমাত্র ছেলেসন্তান আবু সাঈদকে (১০ মাস) নিয়ে পা'লিয়ে যান সাবিনা।
এরশাদুল হক জানান, রোববার সন্ধ্যার পর ওই মেয়ে একটি রাত থাকার জন্য অনুরোধ করলে আমার স্ত্রী মানবিক কারণে সরল বিশ্বাসে তাকে আশ্রয় দেন। পর দিন আমি কাজে চলে যাই এবং বিকালে আমার স্ত্রী আমার সন্তানকে উঠানে রেখে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে গেলে সাবিনা আমার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান।
সন্ধ্যার পর ফোন করে অপহরণকারী সাবিনা বলেন, তিনি আমার সন্তানকে নিয়ে গেছেন। তার স্বামীকে তার হাতে তু'লে দিলে তিনি সন্তানকে ফিরিয়ে দেবেন। কিছুক্ষণ পর তার ব্যবহৃত ফোনটিও বন্ধ পাই। উপায়ন্তর না পেয়ে রাতে চান্দিনা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।
চান্দিনা থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন ও এসআই নোমান হোসেন জানান, তাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওসির নির্দেশে রাতেই আমরা অভিযান শুরু করি। প্রযুক্তির মাধ্যমে সোমবার সারা রাত ও মঙ্গলবার সারা দিন অভিযান চালিয়ে বিকালে মাওয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করি।