কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মো. ইকবাল হোসেনের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজনের দৃশ্যমান যোগসূত্র রয়েছে। পুলিশের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। পুলিশ বলছে, তারা বিষয়টি এখনো খতিয়ে দেখছে। ইকবালকে গতকাল সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার বাকি তিনজনের একজন হলেন ঘটনার দিন সকালে জাতীয় জরুরি সেবার হেল্পডেস্ক নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করা ইকরাম হোসেন। অন্য দুজন হলেন যে মাজার মসজিদ থেকে ইকবাল কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রাখেন, সেই মাজারের সহকারী খাদেম মো. হুমায়ুন কবির ও মো. ফয়সাল আহমেদ।
এই চারজনকে কোরআন অবমাননার কারণে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানায় করা মামলাটির বাদী উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে আসার কথা স্বীকার করা ছাড়া ইকবাল আর কোন তথ্য দেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য তিনজনের কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া গেছে কি-না সেটাও পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়নি। ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করা ফয়েজ আহমেদ দুই দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সূত্র : কালের কণ্ঠ