কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লার লাকসামে নাজমা বেগম (৩০) নামে এক দুবাইপ্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। গত রবিবার রাতে লাকসাম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমগাঁও দরগাহ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের গোপালপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে দুবাই প্রবাসী নাসির উদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের রৌশন আলীর মেয়ে নাজমা বেগমের বিয়ে হয়। নাসির ও নাজমা দম্পতির সাত বছর বয়সী নাহিদ এবং চার বছর বয়সী নাফিজ নামে দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
নাজমার স্বামী প্রবাসে থাকায় ছেলেদের পড়াশোনার সুবিধার্থে লাকসাম পৌর শহরের পশ্চিমগাঁও দরগাহ রোড এলাকায় জনৈক অধ্যক্ষ আবদুল মতিনের বাসায় ভাড়া থাকতেন নাজমা। ঘটনার দিন দুপুরের খাবার শেষে নাজমা তার ছোট ছেলে নাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাতে যান। সন্ধ্যার কিছু আগে ওই গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় নাফিজের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে লাকসাম থানা পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরদিন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এলাকাবাসী জানান, নাজমার স্বামী নাসির উদ্দিন প্রবাসে রয়েছেন। তার বড় ছেলে নাহিদ দুদিন আগে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা ‘আমি বাচঁতে চাই না, আমি মরতেই চাই, আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামীই দায়ী।' প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।