বুধবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৯:২৬:৫৯

মসজিদের ইমামের সঙ্গে পালিয়েছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী

মসজিদের ইমামের সঙ্গে পালিয়েছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে সৌদি আরব থেকে দেশে আসার উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠেন মঞ্জিল হোসেন নামের এক প্রবাসী। পরদিন সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে দুপুর নাগাদ গ্রামের বাড়ি পৌঁছে জানতে পারেন স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা এবং তাদের মেয়েকে নিয়ে মসজিদের ইমামের সঙ্গে পালিয়েছেন স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩০)। 

ঘটনাটি মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস এলাকায় ঘটেছে। প্রবাসী মঞ্জিল হোসেন খোশবাস লুতু চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা। স্ত্রী নাসিমা আক্তার জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার হালিমা নগর গ্রামের আয়েত আলীর মেয়ে।

মসজিদের ইমাম আরিফ হোসেন ওরফে কাজল (২৭) বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় স্ত্রী নাসিমা আক্তারের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৩ বছর আগে মঞ্জিলের সঙ্গে বিয়ে হয় নাসিমার। সে সময় মঞ্জিল মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ভালো আয়ের আশায় সৌদি আরব পাড়ি দেন মঞ্জিল। ১৩ বছরের সংসারে ১টি ছেলে সন্তান এবং ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে মঞ্জিল-নাসিমা দম্পতির। তাদের দাম্পত্য জীবনও সুখের ছিল। হঠাৎ করে খোশবাস এলাকার মসজিদের ইমাম আরিফ হোসেন ওরফে কাজলের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন নাসিমা। তার স্বামী তখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। বিষয়টা জানাজানি হলে নাসিমার ভাই মনির হোসেনসহ সবাই তাকে তিন সন্তানের দিকে তাকিয়ে সংসারে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। 

গত সোমবার রাতে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য বিমানে ওঠেন মঞ্জিল। তার আগে ফোনে স্বাভাবিকভাবেই কথা হয় মঞ্জিল ও নাসিমার। পরদিন মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদের ইমাম আরিফ হোসেন ওরফে কাজল একটি গাড়ি নিয়ে আসেন নাসিমাকে নিয়ে যেতে। 

এ সময় নাসিমা তার আলমারিতে থাকা ১০ ভরি সোনার গয়না, নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ছোট কন্যাশিশুকে নিয়ে ইমাম আরিফ হোসেন ওরফে কাজলের সঙ্গে পালিয়ে যান। ওইদিন দুপুরের দিকে এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি এসে পৌঁছান সৌদি ফেরত মঞ্জিল। তিনি এসেই এমন দুঃসংবাদ শুনতে পেয়ে স্ত্রী নাসিমার পরিবারকে খবর দিয়ে আনেন। এ বিষয়ে সৌদি ফেরত মঞ্জিলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি রাজি হননি।

বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে