মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৩, ০৮:৫৫:১৫

মাঠজুড়ে আগাম জাতের রূপবান শিম, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মাঠজুড়ে আগাম জাতের রূপবান শিম, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম জাতের রূপবান শিম। এই শিম চাষ করে কৃষকের মুখে রাঙা হাসি ফুটেছে। শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীষ্মে আগাম লাগানো রূপবান জাতের শিম বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষকরা পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছে আর খুচরা বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খবর বাসসের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক চাষি আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার মোকাম ও ডুবাইচর গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ রূপবান জাতের শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।

শিকারপুর গ্রামের শিমচাষি আমিনুল ইসলাম বাসসকে জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে আগাম রূপবান জাতের লাল শিম লাগিয়েছেন। দেড় বিঘা জমিতে তার সার, সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি দুই দফায় পাঁচ হাজার টাকার শিমও বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ৭০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছেন। অবশ্য খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছেন।

তিনি জানান, আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ছয় মাসে তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে।

ডুবাইচর গ্রামের চাষি কামরুল ইসলাম বাসসকে বলেন, এখন কয়েক মাস শিমের দাম ভালো পাওয়া যাবে। শীতের সময় শিমের দাম কমে যায়। তখন কৃষকদের ১০/১২ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হয়। খুচরা বিক্রেতা তখন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেন। সবমিলিয়ে খরচ বাদে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।

মোকাম গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন দুই বিঘা জমিতে একই গ্রামের রমজান আলী দেড় বিঘা জামিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষি শিমের আবাদ করেছেন। এসব চাষিরা ক্ষেত থেকে শিম তুলে কয়েক দফায় বাজারে বিক্রিও করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় রূপবানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বুড়িচং উপজেলায় আগাম জাতের শিমের চাষ বেশি হয়েছে। এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষিদের সার, বীজ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সার্বিকভাবে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে