এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গুলি করে ও ককটেল ফাটিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এখন পর্যন্ত তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস।
ডাকাত দলের গ্রেপ্তার সদস্যদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে থানার পুলিশ। সেখানে জানা গেছে, অভিযুক্তরা মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতনে ডাকাতির কাজ করেন। ডাকাতি সম্পন্ন হলে লুণ্ঠিত মালপত্র থেকে তাঁরা কমিশনও পান। আজ বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহম্মেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে উপজেলার মিয়ার বাজার মসজিদ মার্কেটের প্রীতি জুয়েলার্সে ডাকাত দলের সদস্যরা হানা দেন। তাঁরা গুলি ছুড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। ডাকাতির কাজে তাঁরা দুটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করেন। দলের ১০ সদস্যের মধ্যে আটজন ডাকাতি এবং দুজন গাড়ি চালানোয় অংশ নেন। এ ঘটনায় দোকানের মালিক রবীন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ডাকাতি করে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে কাওছার আহমেদ নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর র্যাব ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের অপর সদস্য মো. আরিফ ও আবদুল হাকিমকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি হিলাল উদ্দিন জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাংগার গ্রামের আরিফকে ঢাকার ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে র্যাব বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহিষপুর গ্রামের হাকিমকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রিমান্ডের বরাত দিয়ে ওসি জানান, ডাকাত দলের মূল সরদারের দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির পরিকল্পনা এবং সোনার দোকানগুলো চিহ্নিত করার জন্য আলাদা একাধিক দল রয়েছে। দলের সদস্যরা ঠিক করা দোকানগুলো একাধিকবার ঘুরেফিরে দেখেন। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুসারে মূল ডাকাতেরা প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত সদস্য নিয়ে ডাকাতি সংঘটিত করেন।
ওসি বলেন, ‘প্রীতি জুয়েলার্সে তাঁরা ১০ জন অংশগ্রহণ করেন। আমরা ডাকাতির প্রধান সরদারসহ অপর সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’