এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পারিবারিক কবরস্থানের মালিকানা ও মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হাতাহাতির একপর্যায়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষির আঘাতে কাহারুল মুন্সী (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার শিকার কাহারুল মুন্সী চাপিতলা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
তিনি চাপিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুন্সী বাড়ির একটি পারিবারিক কবরস্থান নিয়ে কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে তার চাচা জীবন ও জাহাঙ্গীর মুন্সীর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরইমধ্যে কবরস্থানের পাশে এলজিইডির খাল কাটার চলমান কার্যক্রমের সুবাদে কবরস্থানে কিছু মাটি দেওয়ার জন্য ভেকুর চালক ও ঠিকাদারকে অনুরোধ করেন কাহারুল মুন্সী। তার অনুরোধে গত বুধবার রাতে কবরস্থানে মাটি দেওয়া হবে এমন খবর পেয়ে জীবন ও জাহাঙ্গীর মুন্সী এবং তার ছেলে আবদুল্লাহ কবরস্থানের কাছে এলে কাহারুলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ও পরে পাল্টাপাল্টি কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে। এ সময় লাগাতার কিল-ঘুষিতে কাহারুল মুন্সী অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাপিতলা নুরজাহান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেবিদ্বার হাসপাতালে রেফার করেন। দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত জীবন ও জাহাঙ্গীর মুন্সীর পরিবার।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।