কুমিল্লা : সেনানিবাসের ভেতরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। সেই কলেজের ছাত্রী সোহাগীকে অনৈতিক কাজের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেনানিবাসের ভেতর সোহাগীর হত্যাকাণ্ড কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠীরা। একটু দূরে মেয়ে তনুর লাশ দেখে বাবা চিৎকার দিয়ে বললেন, মা, আমার মা রে...।
বান্ধবী মানুছরা সাথী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সন্ধ্যা ৫টায় বের হয়েছ, প্রাইভেট পড়িয়ে আসার পথে, পিছন থেকে আঘাত, নাক বরাবর ঘুষি, চুল টেনে ছিরে ফেলেছে। বাবা খুঁজতে বের হয়েছে রাস্তায়। তার (সোহাগী) জুতা চুল, একটু দূরে মোবাইলটা, আর একটু দূরে তনুর লাশ, বাবা চিৎকার করে বলল মা, মা, মা, মা আমার।’
তিনি লিখেছেন, ‘ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সোহাগী তার মাকে বলেছিল, মা টেইলারের কাছ থেকে আমার নতুন জামাটা আজ নিয়ে আইসো, আমি কাল নতুন জামা পরে কলেজ যাবো।’
আশিক খান তার ফেসবুকে কমেন্ট লিখেছেন, ‘তনু ওরা তোমাকে বাঁচতে দিল না। তোমার গান নাচ আমার অনেক ভাল লাগতো v.c.t (ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার) তে যখন কোনো অনুষ্ঠান হত শত কাজ ফেলে আমি দেখতে যেতাম। আর সবচেয়ে ভাল লাগতো তোমার মুখের ভাইয়া কথাটা। ওরা তোমার লাশটাও দেখতে দিল না। ঘুম থেকে ওঠে যখন শুনলাম তুমি আর নেই, মনে হলো আকাশটা আমার মাথায় পড়লো। তাই আমি বারবার বলতাম আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাই কাদিতে পারি না।।।।’
২০ মার্চ রোববার রাতে ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে পুলিশ সোহাগী জাহান তনুর (১৯) লাশ উদ্ধার করে।
তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের (সম্মান) ছাত্রী ছিলেন।
সোহাগী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাসিন্দা ইয়ার হোসেনের মেয়ে।
২১ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম