কুমিল্লা প্রতিনিধি : হায়েনাদের থাবায় চিরনিদ্রায় শায়িত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ আবার উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। হত্যাকাণ্ডের ৮ দিন পর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি ও পুনঃময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম জয়নাব বেগম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি একেএম মনজুর আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন তিনি। তনুর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুমিল্লার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে এ আদেশ দেন তিনি।
গত ২০ মার্চ রোববার রাতে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে সেনানিবাস এলাকায় হত্যার পর মরদেহ তার সেনানিবাসের বাসার অদূরে একটি জঙ্গলে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তার পিতা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শুরুতে মামলাটি তদন্ত করেন কোতয়ালী মডেল থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ২৫ মার্চ রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক সুরতহাল ও মরদেহের ময়নাতদন্তে কিছু অসঙ্গতি থাকায় মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তরের পর সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি একেএম মনজুর আলম কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ভিকটিম তনুর মরদেহে আসামি কর্তৃক সৃষ্ট জখম শনাক্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা ও সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে পুনরায় উত্তোলনের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন। হত্যাকাণ্ডের সময় তনুর পরিধেয় বস্ত্র ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।
২৮ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম