বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬, ১১:০৮:৪৪

তনুর লাশ পুনঃদাফনে বাবার আহাজারি, ‌‘মা, মারে আমারে ছাইড়া গেলি’

তনুর লাশ পুনঃদাফনে বাবার আহাজারি, ‌‘মা, মারে আমারে ছাইড়া গেলি’

কুমিল্লা : আবারো তনুর পরিবারে বাতাস ভারী হওয়া আহাজারি।  তনুর লাশ পুনঃদাফনের সময় বাবার আহাজারি, ‌‘মা, মারে আমারে ছাইড়া গেলি’।  এসময় উপস্থিত লোকজন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। 

প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশ পুনঃদাফন করা হয়।

বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে তনুর গ্রামের বাড়ি মির্জাপুরে আগের কবরেই তার লাশ দাফন করা হয়।  এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছাড়াও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত তনুর স্বজনরা।  তারা বলেন, রাতে তনুর বাড়িতে লাশ পৌঁছার সময় প্রবল বৃষ্টি ছিল।  বৃষ্টিতে ভিজেই লাশ পুনঃদাফন করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে তনুর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।  পরে পুলিশি পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গ্রামের বাড়ি মির্জাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে কুমিল্লার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগমের নিদের্শে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়।

তনু হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি ও পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেয়া হয়। দাফনের দশদিন পর আদালতের নির্দেশেই উত্তোলন করা হয় তনুর লাশ। উত্তোলনের পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় লাশ।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম লাশের আলামত সংগ্রহ করেন।

তনুর লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ, সুরতহাল তৈরি এবং পুনরায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন তারা।  পরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, কবর থেকে তনুর লাশ তুলে কুমিল্লা মেডিকেলল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।  সেখানে অধিকতর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম তনুর লাশের আলামত সংগ্রহ করেন।

পুলিশ সুপার জানান, এরপর তনুর লাশ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ২০ মার্চ রোববার রাতে তনুকে সেনানিবাস এলাকায় হত্যা করে হায়েনারূপী দুর্বৃত্তরা।  ওইদিন রাতে সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়।  ২১ মার্চ সন্ধ্যায় তনুকে তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে দাফন করা হয়।
৩০ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে