কুমিল্লা : বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, সোহাগী জাহান তনুর লাশ পড়ে থাকার জায়গায় ঘাস থাকলেও এখন তা পরিষ্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আলামত নষ্ট করা হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সার্কিট হাউসে তনু হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এর আগে সকালে তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসে তনুর লাশ পড়ে থাকার স্থানটি পরিদর্শন করেন।
কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। কুমিল্লা সেনানিবাসের মধ্যেই তার লাশ পাওয়া যায়।
ড. মিজানুর বলেন, যে জায়গাটিতে তনুর নিথর দেহ পড়ে ছিল, সেই জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে। এটা অস্বাভাবিক। কারণ সেখানে আগে ঘাস ছিল, এমন ছবি আমাদের কাছে আছে। কেন পরিষ্কার করা হলো তা কিন্তু প্রশ্নের উদ্বেগ করে।
তিনি বলেন, সেই জায়গাটির মাটি যদি তুলে নেয়া হয় এবং নতুন মাটি ভরাট করা হয়ে থাকে, এর মাধ্যমে কিন্তু অপরাধের অনেক সাক্ষ্য বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি তদন্ত কাজকে আরো জটিল করে দিতে পারে। তনু হত্যা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ড. মিজানুর বলেন, তনু হত্যার স্থান পরিদর্শনের পর এ রকম ধারণা সৃষ্টি হতে পারে যে, কিছু কিছু সাক্ষ্য বা প্রমাণ নষ্ট করা হয়ে থাকতে পারে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে যারা এটা করছে তাদেরকেই বিচারের আওতায় আনা উচিত। ন্যায় বিচারের স্বার্থেই এ কাজটি করা উচিত।
তিনি বলেন, আমি সেনানিবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মামলার তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। সার্কিট হাউসে মামলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেছি।
প্রসঙ্গত, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সিভিল চাকরি করেন। ২০ মার্চ রাতে তনু তাদের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে ক্যান্টমেন্টের ভেতরেই আরেকটি বাসায় ছাত্র পড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়ই তার লাশ পাওয়া যায়।
৩১ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম