কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ২৮ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের ১৭ দিনেও প্রতিবেদন হাতে পায়নি সিআইডি।
মামলার তদন্তেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তনুর স্বজনরা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তনুর পিতা ইয়ার হোসেন।
তনু হত্যা মামলাটি পুলিশ ও ডিবির পর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে। পাশাপাশি র্যাব, পিবিআইসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাও মামলা তদন্তে সহায়তা করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দকে প্রধান করে গঠন করা হয় মামলার তদন্ত সহায়ক কমিটি।
ইতিমধ্যে তনুর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠি, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, কিছু সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতির খবর জানাতে পারেনি সিআইডি।
এদিকে ৩০শে মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলনের পর দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু ওই রিপোর্ট গত ১৭ দিনেও হাতে পায়নি সিআইডি। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের জানান, এ মামলাটি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা মনিটরিং করছেন। মামলার কার্যক্রম চলছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। এরচেয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, তনু হত্যা মামলা অন্য কোনো হত্যা মামলা থেকে পৃথক না হলেও ঘটনাস্থল ও পারিপার্শ্বিক কারণে হিসাব-নিকাশ করেই প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় এক মাসেও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তনুর পিতা ইয়ার হোসেন। তিনি বলেন, সিআইডি কর্মকর্তারা তনুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের অনেক আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের আশ্বাসের কোনো ফল দেখতে পাচ্ছি না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, আশা করি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন। নিশ্চয়ই তিনি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করবেন। -এমজমিন
১৮ এপ্রিল ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস