কুমিল্লা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নিহত ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে কে বা কারা হত্যা করেছে সে সম্পর্কে কলেজে উড়ো চিঠি এসেছে। এ নিয়ে গতকাল দিনভর কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানামুখী আলোচনা শোনা গেছে। কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়ুবুর রহমান সোহেল বলেন, ‘শুনেছি কলেজে তনুর নামে কেউ চিঠি পাঠিয়েছে। তবে চিঠিতে কী লেখা আছে তা জানি না।’
ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রশিদ বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রেরকের ঠিকানাবিহীন একটি চিঠি আমার অফিসে এসেছে। সেখানে আমার ঠিকানায় শুধু— “অধ্যক্ষ, ভিক্টোরিয়া কলেজ” লেখা আছে। চিঠিতে কে খুনের সঙ্গে জড়িত ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে, যা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি। তবে এ চিঠি ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা বলে আমার মনে হয়েছে। চিঠিটি আমি পুলিশ অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার কাছ থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করেন তার পিতা ইয়ার হোসেন। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। তাতে তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে তেমন আলামত পাওয়া যায়নি এবং মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ঘটনার ৩২ দিনেও পুলিশ হত্যাকারী শনাক্ত করতে পারেনি।
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সবুজ/এসএ