কুমিল্লা : কুমিল্লায় কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার বাবা ইয়ার হোসেন। নোটিশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মোহসিন-উজ-জামান চৌধুরী, ফরসেনিক বিভাগীয় প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা এবং তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক শারমিন সুলতানাকে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নোটিশটি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেন।
তনু হত্যার মামলার বাদী তার বাবা ইয়ার হোসেনের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলীর পাঠানো ওই নোটিশে তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলমাত না পাওয়া ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে কালক্ষেপণ করায় কেন আইনগহত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে।
গত ২০ মার্চ তনুর মরদেহ কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তার বাসার পাশে একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন। ডিএনএ আলামত সংগ্রহের জন্য মামলার ২য় তদন্তকারী সংস্থা ডিবি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ২য় দফায় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করে।
এরপর গত ৪ এপ্রিল তনুর প্রথম ময়নতদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। এতে তনুকে হত্যা কিংবা (প্রকাশের অযোগ্য)র আলামত ছিল না বলে জানানো হয়। এতে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। কিন্তু গত ৫৫ দিনেও নানা অজুহাতে দেওয়া হয়নি ২য় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। এরই মধ্যে গত ১৬ মে রাতে ডিএনএ রিপোর্টে তনুকে (প্রকাশের অযোগ্য)র আলামত পাওয়ার খবর সিআইডি থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়।
২৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস