কাজী এনামুল হক, কুমিল্লা : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে পুলিশ ও হামলাকারীদের গোলাগুলির মধ্যে নিহত সন্দেহভাজন আবীর রহমানকে ‘যারা জঙ্গি বানিয়েছিল’ তাদের বিচার চেয়েছেন তার চাচা শহিদুল ইসলাম।
শনিবার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানি ইউনিয়নের ত্রিবিদ্ধা গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আবীরের কারণে ‘লজ্জায়’ আত্মীয়-স্বজন এলাকায় মুখ দেখাতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
শহিদুল বলেন, আমার ভাতিজা আবীরকে যারা জঙ্গি বানিয়েছে, তাকে দিয়ে যারা অপকর্ম করিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমি চাই না আবীরের মতো আর কোনো ছেলে এমন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকুক।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের আড়াইশ মিটারের মধ্যে পুলিশের চেকপোস্টে বোমা হামলা হয়। বোমায় দুই পুলিশ ও পুলিশের গুলিতে মারা যান রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২২ বছর বয়সী আবীর।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তার চাচা বলেন, ঘটনার পর থেকে আত্মীয়-স্বজন এলাকায় লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না। আবীর এমন কাজ করবে আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। এ ঘটনায় আমরা খুবই লজ্জিত। লজ্জায় এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না।
আবীরের বাবা-মা অনেক দিন গ্রামের বাড়ি থাকেন না। তারা ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে থাকেন।
তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা হয় জানিয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন বলেন, আবির গ্রামে আসত খুব কম। তার আচার-ব্যবহার খুব ভালো। যখন বাড়ি আসত, প্রতিবেশীসহ গ্রামের সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত এবং গরু-ছাগল-বিড়াল দেখলে তাদের খাবার দিত, আদর করত।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র গত মার্চে নিখোঁজ হন বলে গণমাধ্যমের খবর।
শোলাকিয়ার আগে ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর চালানে অভিযানে নিহত পাঁচ সন্দেহভাজন হামলাকারীর মধ্যে নিবরাজ ইসলামও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। -বিডিনিউজ
১০ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম