জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, কুমিল্লা: ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলা নিয়ে সিআইডির কাছে ক্ষোভ জানিয়েছে তনুর পরিবার। সোমবার বিকেলে সিআইডির তদন্ত দল তাদের সেনানিবাসের বাসায় গেলে মামলার অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।
তনুর মা মোবাইল ফোনে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিমসহ সিআইডির একটি দল সোমবার সেনানিবাসে তনুর লাশ উদ্ধারের স্থান পরিদর্শন করে এবং বিকেলে বাসায় গিয়ে তাদের সান্ত্বনা দেয়।
তিনি আরো বলেন, সিআইডিকে বলেছি- তনু হত্যার ৪ মাস ৫ দিন হয়েছে। এখনও কোনো আসামি ধরা পড়েনি। ২০/৩০ জন ধরে নিয়ে গেলেই তো আসামি শনাক্ত হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে তনুর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১মার্চ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন।
গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গত ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।
গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন।
১২ জুন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনেও তনুর যৌন সম্পর্কের বিষয়ে আলামত পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়। তবে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি এবারও অস্পষ্টই রেখে দেয় ফরেনসিক বিভাগ। -বাংলামেইল
২৬ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম