লক্ষ্মীপুর : কিডনি ও রক্ত বিক্রি করে নেশার টাকা দিতে গর্ভধারিণী মাকে মারধর করেছে ছেলে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার সোনালী কলোনিতে।
এ সময় মা হাসপাতালে যেতে না চাইলে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মাদকাসক্ত ছেলে রিমন (২২)। এতে মা বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় ছেলে।
শুক্রবার মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবা শাহজাহান ও মা আয়েশা বেগম বিচার চেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ছেলে রিমন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। বৃহস্পতিবার নেশার টাকার জন্য সে মাকে বিরক্ত করে। টাকা নেই জানালে কিডনি ও রক্ত বিক্রি করে টাকা দেয়ার জন্য মাকে হাসপাতালে নিতে টানাহেঁচড়া করে।
এ সময় মা যেতে না চাইলে উত্তেজিত হয়ে রিমন মাকে মারধর করে। ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন জানান, মাদকাসক্ত রিমনের বাবা-মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ছেলের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি অভিযোগ লিখে আমার কাছে জমা দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার সোনালী কলোনির বাসিন্দা শাহাজাহানের চার ছেলে ও দুই মেয়ে। রিমন সবার ছোট।
তারা জানান, চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টে কাজ করতো রিমন। প্রায় ছয় মাস আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে। এরপর থেকে এলাকার ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা জমিয়ে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রায়ই নেশার টাকা দাবি করে না দিলে হাঁড়ি-পাতিল, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রিমন তার মার কাছে নেশার টাকা দাবি করে। টাকা নেই জানালে মাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। এ সময় হাসপাতালে গিয়ে কিডনি ও রক্ত বিক্রি করে নেশার টাকা দিতে বলে রিমন। মা যেতে না চাইলে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
মা আয়েশা বেগম বলেন, চাকরি ছেড়ে এলাকায় আড্ডা দিয়ে কি ছেলে, কি হয়ে গেল। ভাবতে কষ্ট লাগে। টাকা না দিলেই মারধর শুরু করে। আমাকে হাসপাতালে গিয়ে কিডনি, রক্ত বিক্রি করে টাকা দিতে বলে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগটি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
২৬ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম