লক্ষীপুর : সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজার পর এবার লক্ষ্মীপুরে এক কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। ফারহানা আক্তার নামে ওই ছাত্রীকে গতরাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের শাখারীপাড়া এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কলেজ ছাত্রী ফারহানা শহরের শাখারীপাড়া ছোটপুল এলাকায় সবিতা রাণী নামে এক ভিজিটরের বাসায় থেকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমান খানের মেয়ে। তিনি সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর মা-মনি প্রকল্পের কর্মী ছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, লক্ষ্মীপুরে কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালী রেস্ট হাউজে ডা. ইমামুলের মধ্যস্থতায় ডা. আশফাকুর রহমানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর স্ত্রী হিসেবে আমাকে পরিচয় দিতেন না ডা. আফশাক। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আমি মোবাইল ফোনে তার কথাবার্তা ও বিয়ে সংক্রান্ত সব কিছু রেকর্ড করি। পরে মোবাইল ফোনে ডা. আশফাকুর রহমান আমাকে হত্যার হুমকি দেন এবং লক্ষ্মীপুরে আসতে নিষেধ করেন। তার ভয়ে আমি গত ২৩ তারিখে লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা দিতে আসিনি। আমি শুক্রবারের পরীক্ষা দিতে লক্ষ্মীপুরে আসায় ডা. আশফাকুর রহমান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ভাড়াতে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালান।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আহত কলেজ ছাত্রী ফারহানার পেটে ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহনেওয়াজ ও সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল- মামুন ভূইয়া সদর হাসপাতালে আহত কলেজ ছাত্রীকে দেখতে যান।
০৮ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম