লক্ষ্মীপুর থেকে : লক্ষ্মীপুর শহরের পুরাতন আদালত এলাকা থেকে অপহৃত রাকিবুল হাসান রকির খোঁজ মিলেছে ৬ মাস পর। লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের বাগবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে তাকে ফেলে গেছে কে বা কারা। গতকাল ভোররাতে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় সেখানে পাওয়া যায়।
স্থানীয় লোকজন রাস্তার পাশে চোখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ভিড় জমায়। এ সময় এক রিকশাচালক চিনতে পারে রকিকে। পরে চোখের বাঁধন খুলে রিকশায় করে বাসায় নিয়ে যায় সে। এ সময় তাকে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
রাকিবুল হাসান রকি নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের পর থেকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি চোট্ট ঘরে ফেলে রাখা হতো। ৬ মাস ৬ দিন এভাবে ছিল সে। খাওয়ার সময় শুধু খুলে দেয়া হতো বাঁধন। খাওয়া শেষ আবার হাত ও চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হতো অন্ধকার একটি কক্ষে। প্রতিদিনই মনে হতো আজ জীবনের শেষ দিন। কোথায় রাখা হয়েছে এবং কারা নিয়েছে সেটা বলতে পারছে না রাকিবুল হাসান রকি। তবে তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে রকির বৃদ্ধ বাবা তোফায়েল আহমদ জানান, ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কিছুই নেই। রোববার ভোররাতে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। রাকিবুল হাসান রকিকে জীবিত পাওয়ায় সবাই খুশি।
এদিকে সাধারণ মানুষ জানান, রকি ছিল নম্র ও ভদ্র। চাকরির পাশাপাশি খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিল সে। হঠাৎ তার এমন দশায় হতবাক সবাই। তবে সে ফিরে এসেছে এতে সবায় খুশি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, রাকিবুল হাসান রকি ফিরে আসার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন আদালত এলাকায় রাকিবুল হাসান রকি সহপাঠীদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট খেলছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাকিবুল হাসান রকির বাবা পরের দিন সকালে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। রাকিবুল হাসান রকি স্থানীয় একটি মোটরসাইকেল শো-রুমে মার্কেটিংয়ে কাজ করতেন। এমজমিন
জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি