নিউজ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধা মো. মহসিনের ছেলে মাহমুদুল হাছান হিরুকে একটি হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যমূলক অভিযুক্ত করে হয়রানির মতো কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ মামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করেছে পরিবারটি। এ নিয়ে বুধবার দুপুরে কমলনগর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেবেকা মহসিন জানান, উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা স্বামী মো. মহসিন ২০১২ সালে মারা যান। তিনি হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমির শিক্ষক ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর সৎ ভাই (দেবর) মো. ছানা উল্যাহ তহশিলদারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তার স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি দখল করার জন্য ছানা উল্যা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
এতে তিনি রাজি না হওয়ায় নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ২০১৬ সালের ২৯ মে চরলরেন্স এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের পিয়ন মো. মাকসুদ (২৬) নিখোঁজ হয়।
ঘটনার ৮দিন পর ছানা উল্যার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে পুলিশ তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন ওই দিন রাতে অজ্ঞাতনামা ৪-৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ওই মামলার এজাহারে তার ছেলের নাম ছিল না। পরবর্তীতে ছানা উল্যাসহ একটি কুচক্রি মহল পুলিশকে ম্যানেজ করে তার ছেলে মাহমুদুল হাসান হিরুকে ৩ নম্বর অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করায়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনার সঙ্গে আমার ছেলে সম্পৃক্ত নয়। আমিও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জব্দ করা আলামতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জুুডিশিয়াল তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা উম্মোচন হবে। এ জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস