লক্ষ্মীপুর থেকে : বরযাত্রার প্রস্তুতিতে বাড়ির সবাই যখন ব্যস্ত, ঠিক তখনই ঘ'টে বরের ম'র্মা'ন্তিক ও র'হ'স্যজনক মৃ'ত্যুর ঘ'টনা ঘ'টেছে লক্ষ্মীপুরে। বিয়ের আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হলো কা'ন্নার রোলে। শুক্রবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিন খলিফা বাড়িতে এ ঘ'টনা ঘ'টে।
নিহ'তের নাম আব্দুল কাদের (৩২)। বাড়ির পাশের একটি প'রিত্য'ক্ত পুকুর থেকে তার লা'শ উ'দ্ধা'র করা হয়। সে ওই বাড়ির জয়নাল আবেদীনের বড় ছেলে। পুলিশ লা'শ উ'দ্ধা'র করে ম'য়না'তদ'ন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ম'র্গে পাঠিয়েছে। এ ঘ'টনায় থানায় একটি অ'পমৃ'ত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ ও নিহ'তের পরিবার সূ'ত্রে এ ত'থ্য জানা গেছে।
নিহ'তের বাবা-মা জয়নাল আবেদিন ও আছিয়া বেগম জানান, প্রায় দুই বছর আগে কাদের সৌদি আরব যায়। ২৫ দিন আগে স্থায়ীভাবে বাড়িতে ফেরে সে। আসার পর থেকে হ'তা'শাগ্র'স্ত হয়ে মান'সিকভাবে ভে'ঙে পড়ে সে। দিনে ভালো থাকলেও রাতে অ'স্থি'র থাকত ও ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তাকে চিকিৎসা করাতে গেলে ডাক্তার ঘুমের ওষুধ দেন। কিন্তু রাতেও ঘুম হতো না তার।
অবশেষে তার ইচ্ছাতেই পারিবারিকভাবে চরমোহনা ইউপির চালতাতলী এলাকার সুমি আক্তারের সাথে বিয়ের দিন ঠিক করা হয় শুক্রবার দুপুরে (২ অক্টোবর)। মেহমানও বাড়িতে আসতে শুরু করে। শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে ঘরে আসে কাদের। দুই ঘণ্টা পর কাদের ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তার বাবা বা'ধা দেন। এতে কাদের বা'ধা উপে'ক্ষা করে রাস্তায় বের হয়ে নিখোঁ'জ হয়। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর একই এলাকার জগাগো বাড়ির সুপারি বাগানের ভেতর প'রিত্য'ক্ত একটি পুকুরে কাদেরের লা'শ ভেসে ওঠে।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, যুবকের লা'শ উ'দ্ধা'র করে ময়'নাতদ'ন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আ'ঘা'তের কোনো চি'হ্ন নেই। মৃ'ত্যুটি র'হ'স্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘ'টনায় থানায় ইউডি (অ'পমৃ'ত্যু) মামলা হয়েছে। রিপো'র্ট আসলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।