সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:৫৬:৫৩

পরীক্ষাকেন্দ্রে কাঁদলেন, কাঁদালেন শান্তারা

পরীক্ষাকেন্দ্রে কাঁদলেন, কাঁদালেন শান্তারা

লক্ষীপুর : আজ ছিল এসএসসি বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা।  এদিন লক্ষীপুরের একটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র দেরিতে দেয়া হলেও পরে অতিরিক্ত সময় না দেয়ায় ফলাফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে পাঁচ ছাত্রী বলে জানা গেছে।  এর মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  অন্যরা কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন।  এসময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তাদের অভিভাবক ও অন্যরা। 

 

এ ঘটনা ঘটে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের এলএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে।

 

এ ঘটনায় অন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের (পরিদর্শকদের) অবরুদ্ধ করে রাখেন।  পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে চার পরিদর্শককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

 

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, আজ সোমবার সকাল ১০টায় এসএসসির বাংলা প্রথমপত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর রচনামূলক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হয়।

 

পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষের দায়িত্বরত পরিদর্শকরা অতিরিক্ত সময় না দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরপত্র নিয়ে নেন।

 

এতে রায়পুর মার্চেন্টস একাডেমির পরীক্ষার্থী ছিদ্রাতুন বিন মুনতাহা এলমি, সেবিকা পাল, একা মজুমদার, রিসালাত জাহান মিম, তানজিনা সুলতানা, মেহেরুন নেছা, আলিফ, শান্তা, সিহাবসহ অন্তত ৩৫ জন পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়ে। 

 

তাদের মধ্যে পাঁচজন অচেতন হয়ে পড়ে।  পরে তাদের এলমি ও সেবিকাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

এ ঘটনায় ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের চার পরিদর্শককে পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।  তারা হলেন এলএম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দন, মৈত্রী স্কুলের মাহাবুব, মীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইউনুস ও কাজীর দিঘিরপাড়া স্কুলের পারভেজ।

 

একইসঙ্গে দ্রুত তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের সচিব ও হল সুপারকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শিক্ষা কর্মকর্তা।

 

পরীক্ষা কেন্দ্রসচিব আবুল কালাম ও হল সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ওই কক্ষের চার পরিদর্শক বেলের ঘণ্টা না শোনায় প্রশ্নপত্র দিতে কিছুটা দেরি হয়।  কিন্তু অতিরিক্ত সময় দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল, এটা না বুঝে পূর্ব নির্ধারিত সময়েই উত্তরপত্র নিয়ে যান তারা। 

 

এ ঘটনায় ওই চার শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানান তারা।

১ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে