শনিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৩১:৪৯

তালা ভেঙে ২০০ ইলিশ লুটে ম্যাজিস্ট্রেট, অভিযোগে তদন্ত কমিটি

তালা ভেঙে ২০০ ইলিশ লুটে ম্যাজিস্ট্রেট, অভিযোগে তদন্ত কমিটি

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর মতিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ২০০ ইলিশ লুটের অভিযোগে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৮ এপ্রিল শুক্রবার সকালে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কংকন চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য নেন।

এর আগে ৬ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজেকে এনডিসি পরিচয় দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা মতিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।  এসময় তিনি কোল্ড স্টোরেজের তালা ভেঙে দুটি সিএনজি অটোরিকশায় করে ২০০ ইলিশ মাছ নিয়ে যান।  এসময় ৬ জন লোক থাকলেও পোশাকধারী কোনো পুলিশ ছিল না।

এ ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন এক ভুক্তভোগী।

সূত্রে জানা যায়, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ২০০ ইলিশ মতিরহাট বাজারে কোল্ড স্টোরেজে মজুদ করে স্থানীয় ১২ ব্যবসায়ী।  ৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজেকে এনডিসি পরিচয় দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে কোল্ড স্টোরেজের তালা ভেঙে দুটি সিএনজি অটোরিকশায় করে ইলিশগুলো নিয়ে যান।  এসময় আরো ৬ ব্যক্তি ছিল।

এ ঘটনায় রাতেই ব্যবসায়ীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে ওইদিন কমলনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়নি বলে জানান কর্মকর্তারা।

ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, মাছগুলো প্রায় দুই মাস আগে কিনে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়।  মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা ছিল না, বলার পরও গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে মাছগুরো লুটে নেয়া হয়।  লুট হওয়া মাছের বর্তমান মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বলে জানান তিনি।

ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাছগুলো তিনটি এতিমখানায় বিতরণ করেছেন।

আবদুল গনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আবদুল মোহায়মেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তার প্রতিষ্ঠানকে ১০টি ইলিশ মাছ দেয়া হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কংকন চাকমা জানান, বুধবার রাতে কমলনগর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।  অভিযান পরিচালনার বিষয়টিও জানানো হয়নি বলে জানান তিনি।
৯ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে