রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:৩১:৪৩

ডিসির সহকারীর ফ্রিজে মিলল ম্যাজিস্ট্রেটের লুট করা ইলিশ

ডিসির সহকারীর ফ্রিজে মিলল ম্যাজিস্ট্রেটের লুট করা ইলিশ

লক্ষ্মীপুর : ইলিশের লোভ সামলাতে পারেননি সেই ম্যাজিস্ট্রেট।  জেলার কমলনগরের মতিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে কোল্ড স্টোরেজের তালা ভেঙে দুশ’ ইলিশ লুট করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

 সেই ইলিশের ভাগ চলে যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও।  লুট হওয়া ২৫টি ইলিশ ডিসি অফিসের উম্মেদার (সহকারী) পাভেলের বাড়ির ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করেছে তদন্ত কর্মকর্তারা।

রোববার তদন্ত কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কংকন চাকমা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তদন্তের বিষয়ে তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছয়জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন তিনি।  লুট হওয়া দুশ’ ইলিশের মধ্যে ৩০টি এতিমখানায় দেয়া হয়েছে আর ২৫টি ইলিশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উম্মেদার পাভেলের বাড়ির ফ্রিজে পাওয়া গেছে।  

তিনি জানান, এ সময় ইলিশ মাছ বহনের চারটি ক্যারেটও পাওয়া যায়।  ১২ এপ্রিল তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া হবে।

এর আগে ইলিশ লুটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কংকন চাকমাকে তদন্ত কর্মকর্তা করে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহামন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি দুঃখজনক।  এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।  তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের দুশ ইলিশ কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজারে কোল্ড স্টোরেজে মজুদ করে স্থানীয় ১২ ব্যবসায়ী।

গত ৬ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজেকে এনডিসি পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে কোল্ড স্টোরেজের তালা ভেঙে ইলিশ লুট করেন।

তাকে সহায়তা করেন আরো ছয় ব্যক্তি।  তারা দুটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে ইলিশগুলো সেখান থেকে নিয়ে যান।  রাতেই ব্যবসায়ীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়ে অবহিত করেন।  ওইদিন কমলনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়নি বলেও জানান তারা।
১০ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে