শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬, ১১:৪৮:৫৭

বিয়ের মেহেদি না শুকাতেই এ কি হলো লাবনীর?

বিয়ের মেহেদি না শুকাতেই এ কি হলো লাবনীর?

লক্ষ্মীপুর : বিয়ের সবে মাত্র সাতদিন।  হাতের মেহেদি শুকাইনি।  কিন্তু এরই মধ্যে এ কি হলো লাবনীর?

বিয়ের সাতদিন পর লাবনী আক্তারের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রমারখিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ায় অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন লাবনী বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

লাবনী স্থানীয় রমারখিল ইসলামীয়া জাব্বারিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রি ছিল।  রমারখিল গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বসতঘরের বৈদ্যুতিক ফ্যানের সঙ্গে লাবনীর ঝুলন্ত লাশ দেখে তার মা পাশের লোকজনকে জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।  এর আগে গত ৩ জুন ঘরোয়া পরিবেশে পাশের শ্রীরামপুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির জসিম উদ্দিনের সঙ্গে লাবনীর বিয়ে হয়।

তবে বিয়ের এখনো কোনো কাবিন হয়নি।  নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লাবনীর চাচা দিন মোহাম্মদ বুলবুল সংবাদকর্মীদের জানান, বিয়ের দুদিন পর থেকে লাবনী ওই স্বামীর সংসার করবে না বলে তার মাকে জানায়।  

স্বামী সম্পর্কে প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের বাজে মন্তব্যের কারণে ওই বিয়ে মেনে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে লাবনী।  

ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই হয়তো অভিমানে আত্মহত্যা করতে পারে সে।

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. জাহাঙ্গীর বলেন, গত ৩ জুন মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়েটিকে বিয়ে দেয়া হয়।  সে আত্মহত্যা করেছে। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে জানা যায়নি।  তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।  
১০ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে