মাদারীপুর : কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটের মাঝ পদ্মায় ঢেউয়ের ধাক্কায় দুটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষবর্ষের ছাত্রী আইরিন নাহার এ্যানিসহ (২৫) তিনজন। তারা পানিতে তলিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আইরিন নাহার এ্যানি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড বিজনেস টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) এমবিএ শেষবর্ষের ছাত্রী এবং শিবচর পৌর বাজারের শিউলী স্টোরের মালিক আবদুর রবের মেয়ে।
নিখোঁজ অপর দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্রে জানায়, সোমবার বেলা ১২টার দিকে একটি স্পিডবোট শিমুলিয়া ঘাট থেকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মাঝ পদ্মায় আসলে প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে বোটটি উল্টে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে আরো একটি স্পিডবোট ১৭ জন যাত্রী নিয়ে মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। শিমুলিয়া ঘাটের কাছাকাছি গেলে সেটিও প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে উল্টে যায়।
নিখোঁজ এ্যানির ফুফাত ভাই জুয়েল আহমেদ জানিয়েছেন, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় আইরিন নাহার এ্যানিসহ কমপক্ষে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে শিবচরের কাওড়াকান্দি স্পিডবোট ঘাটের সুপারভাইজার ইউসুফ শিকদারের দাবি, ডুবে যাওয়া স্পিডবোট দুটির সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্পিডবোট ডুবির পর উভয় বোটের যাত্রীরা ভাসমান বোট ধরে নদীতে ভাসতে থাকে। পরে অন্য স্পিডবোট ও ট্রলারের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকার কথা শুনেছি। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
৫ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম