মাদারীপুর থেকে : মাদারীপুরের সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধ'র্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আ'টক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই দুই যুবককে আ'টক করা হয়।
আ'টক দুইজন হলেন- সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের নান্নু মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা (২০) এবং একই এলাকার জলিল মোড়লের ছেলে মাসুদ মোড়ল। এই ঘটনায় ধ'র্ষিতা দুই কিশোরীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধ'র্ষিতা কিশোরীদের দাবী, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের ট্রলার ঘাট এলাকা থেকে গ্রামের বাড়ি জাফরাবাদ এলাকায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাদেরকে নৌকায় তোলা হয়। পরে রাতে এক কিশোরীকে নৌকায় এবং অপর কিশোরীকে নদীর পাড়ের একটি গরুর খামারে নিয়ে ধ'র্ষণ করে ফেলে যায়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, সোমবার সকালে মাদারীপুর শহরে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী। নানা বাড়িতে বেড়ানোর পরে শহরে কেনাকাটা করে পুরনো ট্রলারঘাট থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রলারে ওঠে তারা।
পরে ট্রলারে ওই দুই শিক্ষার্থী একা পেয়ে পাঁচখোলা গ্রামের জলিল মোড়লের ছেলে মাসুদ মোড়ল ও একই গ্রামের নান্নু মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা ট্রলার থামিয়ে কালিকাপুরের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়।
সেখানে হ'ত্যার হুম'কি দিয়ে মুখ বেঁধে এক শিক্ষার্থীকে নৌকায় ও আরেকজনকে ওই গরুর খামারেই পালাক্রমে ধ'র্ষণ করে বখা'টে মাসুদ ও রুবেল। একপর্যায়ে ওই দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় তারা।
মঙ্গলবার ভোরে মুসল্লীরা নামাজ পড়তে বের হয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে কান্নাকাটি করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে শিক্ষার্থীদের গুরু'তর আহ'ত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, দুই কিশোরীর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে রিপোর্ট দেয়া হবে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, এই ঘটনায় দুইজনকে আ'টক করা হয়েছে। ধ'র্ষিতার পরিবার মামলা করলে মামলা নেয়া হবে।