মাদারীপুর: মাদারীপুরের শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নের চরবাচামারা তালুকদারকান্দি গ্রামের ইদ্রিস আলী খান তার মেয়ের বিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে পাঁচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে পাশের এলাকার এক ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কিন্তু সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের আগে চলে যান ইউএনও। তারপর বাল্যবিবাহের অপ'রাধে ওই ছাত্রীর বাবাকে ছয় মাসের কা'রাদ'ণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্য'মাণ আদালত। এমন সময় কনে ও কনের মাসহ পরিবারের লোকজন পা'লিয়ে যান। খবর পেয়ে মাঝ রাস্তা থেকেই পালিয়ে যায় বরপক্ষও।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গো'পন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রা'ম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানে অভি'যান পরিচালনা করেন। ভ্রা'ম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টে'র পেয়ে কনে ও কনের মাসহ পরিবারের সদস্যরা পা'লিয়ে যান। এমন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের বাবা ইদ্রিস আলী খানকে (৫৫) আ'টক করে বাল্যবিবাহ নিরো'ধ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ'ণ্ড প্রদান করেন। এ খবর পেয়ে বরযাত্রীর লোকজনও মাঝ রাস্তা থেকেই পা'লিয়ে যায়। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল নোমান ও থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাল্য বিয়ের অপ'রাধে কনের বাবাকে ছয় মাসের কা'রাদ'ন্ড প্রদান করা হয়েছে। খবর পেয়ে মাঝ পথ থেকেই বর পা'লিয়ে গেছে।