মাদারীপুর: শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে কোনভাবেই ঠে'কানো যাচ্ছে না যাত্রীর চাপ। শুধু মানুষ আর মানুষ, গাদাগাদি করেই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। এ নৌরুটের লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। তবে সোমবার থেকে ঘরমুখো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে।
রবিবার রাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাত্র ৪টি ফেরি চলাচল করেছে। পরে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় দুপুর থেকে চালু হয় ১৩টি ফেরি। হাজার হাজার মানুষের কারণে জরুরী পরিসেবা ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহন না পেলেও বরিশাল পটুয়াখালী যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। ঘাটে ফেরি ভেরার সাথে সাথে শত শত যাত্রী গাদাগাদি করে নামছে। সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে। এদিকে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অধিক হারে।
উভয় পাড়ে শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌছাতে যাত্রীদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল, ইজিবাইকে চড়ে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন বাড়তি ভাড়া। বিশেষ করে নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়ছেন। ঝুঁ'কি নিয়েই অনেকে রওনা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেরি চালক ও কর্মচারীরা জানান, বর্তমানে দেশে যত করোনা রোগী সনা'ক্ত হচ্ছে তার প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগই ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুরে। আর সেখান থেকে আসা হাজার হাজার যাত্রী ফেরিতে গাদাগাদি করে প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছে। যাত্রীরা কোন সামাজিক দূরুত্ব মানছে না। চাকরির কারণে আমরা ফেরি চালাতে বাধ্য হচ্ছি। এ কারণে আমরা ঝুঁ'কিতে রয়েছি। দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ যেখানে পারাপার হচ্ছে। সেখানে আমাদের আক্রা'ন্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কিন্তু কম না।
এদিকে ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৩টি ফেরি চালু রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঘাটে যাত্রী চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক'ঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে জেলা প্রশাসক।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ বিভিন্ন উপায় ফেরি ঘাটে এসে জমায়েত হয়। ফেরিতে যাত্রী পারাপার না করার জন্য ফেরি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে ঢাকার বাহিরে অথবা ঢাকার বাহির থেকে ঢাকায় প্রবেশে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেন যাত্রীরা জড়ো না হতে পারে সে ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আ. আলীম বলেন, এরুটে ১৩টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। উভয় পাড়ে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।