মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০২:৩৭

হঠাৎ পাল্টে গেল মাদারীপুরের মাছের বাজার

হঠাৎ পাল্টে গেল মাদারীপুরের মাছের বাজার

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে চলছে ৫৮ দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তাই মাদারীপুরের হাটবাজারে বেড়েছে দেশি মাছের কদর। এই সুযোগে ইচ্ছেমতো পুকুর, জলাশয় ও বিলের মাছের দাম রাখছে বিক্রেতারা। উৎপাদন খরচ ও পরিবহনে ভাড়া বেশির অযুহাত বিক্রেতাদের। এমন পরিস্থিতিতে বাজার তদারকির অভাবকেই দুষছেন ক্রেতা। তবে, বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

মা ইলিশ রক্ষায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত টানা ৫৮ দিন দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই ক’দিন ধরে মাদারীপুরের হাটবাজারে দেখা নেই ইলিশের। এই সুযোগে বেশি দামে মাছ বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে মাদারীপুর শহরের পুরাণ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাকডাকা ভোরে পাইকার আর আড়তদারের হাকডাকে জমজমাট পাইকারি মাছের কেনাবেচা। খাল-বিল, জলাশয় ও পুকুরের দেশি মাছ নিয়ে আসেন জেলে ও মৎচাষিরা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলেছেন, একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি, অন্যদিকে পরিবহনে লাগে বাড়তি ভাড়া। এতে কিছুটা বেড়েছে মাছের দাম।

জানা গেছে, মাদারীপুরে ৮০টি পাইকারি মাছের আড়ত ও ১৮৬টি খুচরা হাটবাজার রয়েছে। জেলায় ২৭ হাজার ২০০ ম্যাট্রিক টন মাছের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ২৭ হাজার ৮০০ ম্যাট্রিক টন। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকেও প্রতিনিয়ত মাছ আসছে মাদারীপুরের হাটবাজারে। লাগামহীন বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মাছের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি তুলেছেন ক্রেতারা।

রাস্তি এলাকা থেকে আসা ক্রেতা জহিরুল মিয়া বলেন, ‘বাজারে মাছ কিনতে আসলেই দাম বেশি। কোনো নজরদারি কিংবা কার্যকর ব্যবস্থা নেই। আমরা ক্রেতারা নিরুপায়। এর প্রতিকার চাই।’

আরেক ক্রেতা ভোলানাথ বলেন, ‘ছোটো আর বড় সব ধরনের মাছের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছেই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তাই সাধ্যের মধ্যে মাছ কিনতে কষ্ট হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন।’

মাদারীপুর শহরের পুরাণবাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. মোসলেম মাতুব্বর বলেন, ‘আড়তে ইলিশের দেখা নেই। স্থানীয় চাষিদের কিছু মাছ আসছে দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। আড়তদার সমিতি থেকে ন্যায্য দামে মাছবিক্রির জন্য বলা আছে। সেই অনুযায়ী মাছ কেনাবেচা হয়।’

মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল আলম বলেন, ‘ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে বাড়তি দামে মাছবিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। মৎসচাষি কিংবা আড়তদার কেউ যদি বাড়তি দামে মাছ বিক্রি করে তাহলে তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে