মাদারীপুর : এবার কলেজশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার সময় হাতেনাতে ধরা খেল তিনজনের একজন। ধরাছোঁয়ার বাইরে যেতে চাইলেও অবশেষে ধরে ফেলে জনতা।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে (৪০) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় পালনোর সময় প্রিন্স ফাইজুল্লাহ (২৫) নামের একজনকে আটক করে জনতা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।
গুরুতর আহতাবস্থায় শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, রিপন চক্রবর্তী (৪০) বুধবার কলেজের পরীক্ষার কাজ শেষে কলেজের পেছনে সোবাহান মুন্সীর ভাড়া করা বাসায় চলে যান। ওই বাসায় তিনি একাই থাকেন এবং বাসায় ফিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
বিকেল ৫টার দিকে তার বাসার দরজায় নক করে তিন যুবক। দরজায় নক করার শব্দ শুনে শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী দরজা খোলামাত্রই তিনজন দুর্বৃত্ত কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
রিপনের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারা প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে ডিসি ব্রিজ নামক স্থানে একটি ইজিবাইকে উঠে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় কলেজের স্টাফ মিরাজ একজনকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক প্রিন্স ফাইজুল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছে। তিনি ঢাকার উত্তরার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তার বাবা গোলাম ফাইজুল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। পরিবারসহ তিনি ঢাকার উত্তরাতে থাকেন। গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
আটক যুবকের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল, এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির, সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক কিছু বলতে রাজি হয়নি।
১৫ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম