মানিকগঞ্জ : ২০০৭ সালে মানিকগঞ্জ-২ (সাবেক-৩, হরিরামপুর-সিংগাইর) আসনে বিএনপি-জামায়াত জোটের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মীর কাসেম আলীর।
নির্বাচন করতে জোর লবিংও করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা খান রিতার সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। শেষ পর্যন্ত ওয়ান ইলেভেনের কারণে আর ওই নির্বাচন হয়নি।
সুতালরি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুতালরি ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গি গ্রামে বাড়ি ছিল মীর কাসেম আলীর। ওই গ্রামটি এখন পদ্মা নদীগর্ভে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে মীর কাসেম আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার ডাকনাম পিয়ারু ওরফে মিন্টু।
বাবা মীর তৈয়ব আলীর চার ছেলের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবার চাকরি সূত্রে ছোটবেলা থেকে চট্টগ্রামে থাকতেন তিনি।
জানা গেছে, ধনাঢ্য মীর কাশেম আলীর বাবা তৈয়ব আলীর বাড়ি ছিল সুতালরি ইউনিয়নে। বছর ১৫ আগে মীর কাসেম আলী হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি কেনেন।
সেখানে গড়ে তোলেন একটি মসজিদ। তবে কোনো বাড়িঘর করা হয়নি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি মাঝে মাঝে ওই গ্রামে যেতেন।
মসজিদে দলের লোকজনকে নিয়ে বসতেন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর তিনি আর প্রকাশ্যে মানিকগঞ্জে আসেননি।
জানা গেছে মনিকগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করার জন্যই তিনি ওই জমি কিনেছিলেন। সেখানে একটি বাড়ি করারও ইচ্ছা ছিল তার।
৩০ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম