মানিকগঞ্জ থেকে : শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় নামাজে জানাজা শেষে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে মীর কাসেমের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার বাড়িতে পৌঁছে। কাশিমপুর কারাগার থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহাড়ার মধ্য দিয়ে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের সামনে বিজিবি, পুলিশ এবং র্যাবের ছয়টি গাড়ি এবং পেছনে পুলিশের তিনটি গাড়ি ছিল। ওই বহরে ছিলেন একজন ডেপুটি জেলার। তার নেতৃত্বে কঠোর নিরাপত্তায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। মীর কাসেমের লাশবাহী গাড়ি বহর আশুলিয়া, নবীনগর, ধামরাই, সাটুরিয়া হয়ে মানিকগঞ্জের শহরের ওপর দিয়ে হরিরামপুর চালা গ্রামে পৌঁছায়।
এরপর রাত তিনটা দশ মিনিটে মীর কাসেম আলীর ভাতিজি জামাই আবুল হাসান জানাজার ইমামতি করেন। এরপর মসজিদের পাশে শুরু হয় দাফনের প্রক্রিয়া আর শেষ হয় রাত সাড়ে তিনটায়।
আইন শৃংখলা-বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে গণমাধ্যমকর্মীদের দাফনের স্থানে যেতে দেননি। এর আগে রাত সাড়ে দশটায় মীর কাসেম আলীর স্ত্রী, দুই ছেলের স্ত্রী, দুই মেয়ে, চার ভাগ্নি ও ভাতিজাসহ ৪০ জন আত্মীয়-স্বজন দাফনের স্থলে আসেন। দাফন শেষে তারা ঢাকায় ফিরে যান।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০ টায় গাজীপুর কাশিমপুর-২ কারাগারে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি