শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ০৮:১৪:১২

শিবালয় মডেল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন আর নেই

শিবালয় মডেল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন আর নেই

সুমন হোসেন, মানিকগঞ্জ থেকে : শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো.মোবারক হোসেন শুক্রবার সকালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃর্তুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ আত্মীয় স্বজন ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ছোট বোয়ালী  গ্রামে ঈদগা মাঠে জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম পিপি, শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকবর, ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান মিঠু, তাহমিনা আক্তার লতা,  উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উপজেলা কমান্ডার রেজাউর রহমান খান জানু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রহিম খান ও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যনগণ বহু গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও সাধারণ মানুষ তার লাশ দেখতে আসেন এবং পরিবারকে সমবেদনা জানান।
 
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আরিচা ঘাটে তার নিজস্ব অফিসে হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ডায়াবেটিকস এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা ছিল।

মোবারক হোসেনের মৃত্যু সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শত শত মানুষ তার লাশ এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে এসে ভীর জমাতে থাকে। শিবালয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন হঠাৎ থেমে যায়। সকালে মঙ্গল শোভা যাত্রা শুরু হওয়ার প্রাককালে মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। আরিচার যমুনার তীরে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী আনন্দ আয়োজন ও ঘুড়ি উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা ও আয়োজক স্থানীয় শতদল সামাজি-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান পৃষ্টপোশক মোবারক হোসেনের আকষ্মিক মৃত্যুতে সকল আয়োজন বন্ধ হয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। উপজেলা বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী উৎসবের নানা অনুষ্ঠানও সংক্ষিপ্ত করা হয়।

মোবারক হোসেন পর পর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শিবালয় ইউনিয়ন পরিষদকে মডেলে পরিণত করে জেলার সেরা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলার সেরা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি রাষ্টীয়ভাবে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইন সফর করেন। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে ইউনিয়নের অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা পালন করেন তিনি।

১৪ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে