মানিকগঞ্জ থেকে : নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তাহিরা তানভীন শশীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে শশীর তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে ডাক্তাদের পরামর্শে শশীকে দাফন করার কথা জানানো হয়নি তার স্বামী ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনকে।
তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ১২ মার্চ সপ্তম বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে নেপালে যাওয়ার সময় ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় শশী নিহত ও তার স্বামী ডা.শাওন গুরুতরভাবে আহত হন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি লাশবাহী অম্বুল্যান্সে করে শশীর মরদেহ মানিকগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে আনা হয়। এসময় এক হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শশীর মৃতদেহ অম্বুল্যান্স থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
মানিকগঞ্জের সর্বজন পরিচিত ডা.রেজা হাসান আর কামরুন নাহার বেলীর একমাত্র সন্তান তাহিরা তানভীন শশী। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে কাঁদেতে কাঁদতে শশীর বাবা-মায়ের চোখের পানি যেন ফুরিয়ে গেছে। তারা যেন পাথর হয়ে গেছেন। কিন্তু স্বজনরা কাছে আসলেই তাদের জড়িয়ে ধরে তারা চিৎকার করে কাঁদছেন। তারা এ শোক কিভাবে সামলাবেন তা নিয়ে চিন্তিত স্বজনরা।
শশীর মামা আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম পুলক জানান, শশী আমার বোনের অনেক সাধনার ধন। বিয়ের দীর্ঘদিন পর আমার বোন কামরুন নাহার বেলীর কোলজুরে আসে শশী। তাদের জীবনে শশীই সব কিছু ছিল। তারা নিজের জীবনের চেয়েও শশীকে বেশি ভালোবাসতেন। কিন্তু এখন তারা কাকে নিয়ে থাকবেন।
এই বলে তিনিও কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি আরও জানান, শশীর স্বামী শাওনের অবস্থাও আশঙ্কামুক্ত না। তাই ডাক্তাদের পরামর্শে শশীর মৃত্যুর বিষয়টি তার স্বামী ডা. শাওনকে জানানো হয়নি। তাই শশীর দাফনের বিষয়টিও শাওন জানে না।
এমটিনিউজ/এসএস