শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৭:৪৪

ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান দেবর, তারপর মর্মান্তিক ঘটনা

 ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান দেবর, তারপর মর্মান্তিক ঘটনা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। 

পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে পৃথিবী থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন। আর সেই পরিকল্পনা নিখুতভাবে বাস্তবায়ন করেন ভাবি। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঘটে এমন ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দেন জেলা পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছেন থানা-পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন-সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা এলাকার রোকমান মোল্লার ছোট ছেলে মো. ঝন্টু (২৪), মৃত উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী কাঞ্চন ওরফে মনিরা (২৩) ও একই গ্রামের পাশা বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ (২২)।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রবাসে থাকা অবস্থায় আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ঝন্টু মিয়া। ঝন্টু দেশে ফিরে আসে এবং পরকিয়ার সম্পর্ক চালিয়ে যান। মাস খানেক আগে বড় ভাই দেশে আসলে তাদের (মনিরা ও ঝন্টু) অনৈতিক সম্পর্কে বাধা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বলেন, ভাবির সঙ্গে পরকীয়া জড়ায় দেবর ঝন্টু মিয়া। বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়া দেশে ফিরে আসলে তাদের (মনিরা/ঝন্টু) অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে মনিরা তার স্বামী উজ্জ্বলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে এবং অচেতন অবস্থায় উজ্জ্বলকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এই হত্যার সঙ্গে ঝন্টুকে সহায়তা করে প্রতিবেশী মাসুদ নামে একটি ছেলে।

হত্যার পর ঝন্টু ও মাসুদ দুজনে মিলে মরদেহ ড্রামের ভেতর ভরে নদীতে ডুবিয়ে গুম করে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয় এবং তিন জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে