ভাগি দেয়া ছাগলটি নিয়ে দুদকের তদন্ত!
ময়মনসিংহ : একটি ছাগল ভাগি দিয়েছিলেন নেত্রকোনা বারহাট্টা থানার হীরা লাল রায়। এটিকে লালন-পালন করছিলেন একই থানার আশিয়ল (সিংদা) গ্রামের বিধবা শিরিন আক্তার ডলি।
শেষপর্যন্ত ছাগলটি তিনি ধরে রাখতে পারেননি। অভাবের তাড়নায় বিক্রি করে দেন কিংবা হারিয়ে যায় ছাগলটি। কিন্তু ভাগিদার তাতে মানতে নারাজ।
হীরালাল ছাগলটি দাবি করে সালিশ ডাকেন।
স্থানীয় মোড়লরা চূড়ান্তভাবে অভিযুক্ত করেন শিরিনকেই। তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না ডলি।
ক্ষুব্ধ হীরালাল পাঁচ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ডলির বিরুদ্ধে ঠুকে দেন মামলা (নেত্রকোনা স্পেশাল মোকদ্দমা নং-১১৮/২০১৪)। ধারা দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৫০০।
ধারাগুলো এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তফসিলভুক্ত। ফলে মামলাটি তদন্তের জন্য চলে আসে দুদকে।
কমিশনের সিদ্ধান্তে মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকী।
গত অক্টোবরে মামলাটি নথিভুক্তের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, মোকদ্দমায় উভয়পক্ষের মাঝে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসায় উপনীত হয়। বাদী তার ছাগল বাবদ দাবিকৃত পাঁচ হাজার টাকা সাক্ষীদের সামনে বুঝে পেয়েছেন। এ কারণে মোকদ্দমাটি নথিভুক্তের সুপারিশ করা যাচ্ছে।
১১ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর
�