তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে খুন করল প্রেমে ব্যর্থ ফুফাতো ভাই
ময়মনসিংহ : তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নাদিরাকে হত্যা করেছে প্রেমে ব্যর্থ তারই ফুফাতো ভাই মুন্না। হত্যাকাণ্ডের ৭/৮ ঘণ্টা পরই ময়মনসিংহ শহরের হেলথ অফিসার ডিবি পুলিশ হত্যাকারী শাহজাহান হাবিব মুন্নাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা অকপটে স্বীকার করে সে। পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটিকে হত্যা করেছে বলে হাবিব পুলিশকে জানিয়েছে।
এদিকে কন্যাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। কিছুতেই থামছে না তাদের আহাজারি। তারা খুনি মুন্না ফাঁসি দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ শহরের গনশার মোড় এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক ইউনুছ আলীর মেয়ে নাদিরা আক্তার মাসকান্দায় জেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। তার ফুফাতো ভাই প্রাইভেট কারচালক শাহজাহান হাবিব মুন্না প্রেমের প্রস্তাব দেয় নাদিরাকে।
পুলিশ জানায়, কিন্তু নাদিরা প্রেমে সায় না দেয়ায় মুন্না প্রায়শই তাকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করতো। এ ঘটনায় মুন্নাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করে নাদিরার মা মাজেদা বেগম। এরই জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাদিরাকে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায় মুন্না। প্রাইভেট কারের মধ্যেই গলা কেটে হত্যা করে তাকে। এরপর ময়মনসিংহ শহর বাইপাস সড়কের পাশে সদর উপজেলার বাদেকল্পা এলাকায় লাশ ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয় লোকজন স্কুলছাত্রীর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
রাতেই পুলিশ সন্দেহভাজন খুনি মুন্নার মা হ্যাপী আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি পুলিশকে জানান, তার ছেলে মুন্না ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার আবেদিন তুহিনের প্রাইভেট কার চালক। এমপির সহায়তায় হাবিবকে ময়মনসিংহ শহরের সানকিপাড়া হেলথ অফিসারের গলির এক বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের জানান, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে হাবিব স্বীকার করেছে। প্রাইভেট কারের ভেতরেই নাদিরাকে হত্যা করা হয় বলেও পুলিশকে জানিয়েছে মুন্না।
১৩ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর
�