ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে পাসপোর্ট অফিস থেকে দুই রোহিঙ্গা সহ এক দালালকে আটক করেছে পুলিশ। তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করে পাসপোর্ট নিতে আসছিলেন তারা। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটক তিন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁদের আবেদনপত্রে উল্লিখিত তথ্যাদি পরীক্ষা করে দেখছেন।
সোমবার(৭ মে) সদরের মাসকান্দা এলাকার পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, রোহিঙ্গা রমিছা (৩০) ও সালমা খাতুন (২৬) এবং বাংলাদেশি দালাল সাবিকুন্নাহার (২২)।
পুলিশ ও পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় দুজনের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় উপপরিচালক নুরুল হুদার। পরে তাঁদের তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাতে দুই রোহিঙ্গা নারীর দেওয়া তথ্যে গরমিল পাওয়া যায়। নিজেদের বিবাহিত পরিচয় দিলেও স্বামীর নাম বলতে পারেননি তাঁরা। পরে উপপরিচালক তাঁদের বাংলাদেশি পরিচয় যাচাইকালে সত্যতা পাননি।
দুপুরে রোহিঙ্গা দুই নারীসহ তিনজনকে পাসপোর্ট অফিসে আটক রাখা হয়। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান অফিসে যোগাযোগের পর সোমবার বিকেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন উপপরিচালক।
উপপরিচালক নুরুল হুদা জানান, দুই রোহিঙ্গা নারীর একজন ঢাকা অন্যজন দিনাজপুরের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। দালাল সাবিকুন্নাহার ঢাকার সাভারের বাসিন্দা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, দুই রোহিঙ্গা নারী কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে থাকেন বলে জানিয়েছেন। পাঁচ মাস আগে সাভারে এসে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছেন। সেই সূত্রে নারী দালালের সঙ্গে পরিচয়।
ওসি আরো জানান, কুতুপালং থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর